এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - এর সকল পর্ব একসাথে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১

“বিহান ভাই আমার শাড়ি টা পরা শেষ হলে ভেতরে আসুন প্লিজ পাত্র পক্ষ এক্ষুণি চলে আসবে।” “পাত্র পক্ষ আসবে তাতে তোর সমস্যা টা কি বুঝলাম না দিয়া।পাত্র পক্ষ কি তোকে দেখতে আসছে নাকি বিভা আপুকে।তোর যে এক্সসাইটেডভাব যেনো তোকে দেখতেই আসছে।” বিহান ভাই যে এমন কথাই বলবেন সেটা আমার জানাই ছিলো আগে থেকে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২

মানুষ মানুষকে এতটা অপমান কিভাবে করতে পারে তা ওই হৃদয়হীন মানুষ টাকে না দেখলে জানতাম না।আগে যদি জানতাম উনি বাড়িতে আসছেন তাহলে আমি কিছুতেই যেতাম না।উনি বাড়িতে নেই বলেই তো গেছিলাম।আমাকে বিরক্ত করতে না পারলে তো উনার পেটের ভাত ই হজম হয় না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৩

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত পোহায় যার ভয়ে আম্মুকে বলে ডাক্তার দেখানোর নামে মিথ্যা বুলি আওড়ালাম সেই বিহান ভাই এর সাথেই রাস্তায় দেখা।বাধ্য হয়ে আবার ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরেই এলাম।আমার জীবনের সব থেকে বড় সমস্যার নাম বিহান ভাই যাকে মনে মনে সহস্রবার গালি বকা দিয়েছি অথচ সে আমার সামনে এলে আমার রিতীমত

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪

পড়ন্ত বিকালে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রিয়াকে নিয়ে রওনা হলাম মামাদের বাসায়।এখনো রোদের আঁচ কমে নি।উত্তপ্ত রোদে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জীবন।কিছুতেই যেতাম না কিন্তু ওই রাক্ষস এর ব্লাকমেইল এর জন্য যাচ্ছি।রিয়া ছাড়া কোথাও যাওয়ার অভ্যাস নেই আমার।তাতে আবার বিভা আপুর বিয়ে সেকারণে রিয়াকে নিয়ে যাওয়াটা আরো বেশী করে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫

খাঁনবংশে জন্ম গ্রহন করা টা বোধহয় মস্তবড় অন্যায় হয়েছে আমার। বংশের মানুষ একটু রগচটা টাইপের আছে।এখনো তারা পলিটিক্স এ জড়িত।মারামারি কাটাকাটি এগুলা তাদের নিত্যদিনের স্বভাব।বংশের নাম খাঁন বলেই রাজাকারের বংশের উপাধি দিয়েছেন বিহান ভাই।তার উপর আবার পলিটিক্স এ জড়িত উভয় মিলে আমাকে এই রাজাকার কথাটা শুনতে হয়।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৬

বেদনার পরিপূরক আর আপনসঙ্গি বোধহয় অন্ধকার।একমাত্র অন্ধকারেই বেদনা কে প্রকাশ করা যায়।মনের মাঝে বেদনা,দুঃখ,কষ্ট দানা বাঁধলে তখন অন্ধকার কেই আপন করে নিতে ইচ্ছা করে আমার।আলো আমি সহ্য করতে পারি না।নিজেকে অন্ধকারে মুড়িয়ে নিকশ কালো অন্ধকারে নীল বেদনা ঢেকে ফেলতে ইচ্ছা করে।মনের মাঝে ভয়াবহ যন্ত্রণা হচ্ছে।কিন্তু কেনো হচ্ছে এই যন্ত্রণা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৭

সমগ্র কাজিন গুষ্টির সামনে মান সম্মান এর বারোটা বাজিয়ে দিলেন বিহান ভাই।কি জানি সবাই আমাকে কোন চোখে দেখছে।কোনো কথা না বলে ওখান থেকে উঠে চলে গেলাম আমি লজ্জায়। বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ উল্লাস আর আমেজের শেষ নেই।একদিকে হলুদের জন্য উঠানেই প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।বাড়ির ছেলেগুলো সেখানেই বিজি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৮

“ফাইট্টা যায় বুকটা ফাইট্টা যায় আমার বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায়।” বিহান ভাই মনে হয় কিছুক্ষণের জন্য মনে হয় হ্যাং হয়ে গেলেন।চারদিকে যত মানুষ ছিলো সবার এটেনশন গানের দিকে চলে গেলো।বিভা আপুর ফ্রেন্ড বলে উঠলো কোন ক্ষ্যাতের ফোনের রিংটোন রে এইটা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৯

গভীর রাতে ফ্লোরে সুয়ে আছি প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে হঠাত মনে হলো কেউ আমার হাত স্পর্শ করলো।হঠাত ঘুমের মাঝে হাত স্পর্শ করাতে কেঁপে উঠলাম আমি।চিৎকার দিতে যাবো এমন টাইমে আমার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরলেন বিহান ভাই।আমার মুখে হাত দেওয়া অবস্থায় আমার হাত ধরে মধ্যরাতে ডেকে তুলে নিয়ে এলেন।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১০

ব্রিজ থেকে ফেরার সময় দেখলাম গাছের আড়ালে কিছু একটা নড়াচড়া করছে।সেই আত্মা ভেবে বিহান ভাই এর হাত শক্ত ভাবে ধরলাম আমি।বিহান ভাই আমাকে বলেন ওয়েট কর নিশ্চয় শুভ,তিয়াশ,বা বিভোর কারো সাথে লাইন মারছে।আমি বললাম ওই আত্মা ও হতে পারে।বিহান ভাই আমাকে বলেন তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড় বাকিটা দেখতেছি।তারপর কি হলো জানিনা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১১

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১১

একটা মানুষ কোন লেভেল এর ফাজিল হলে আর খারাপ হলে তার মেয়েকে ভয় দেখানোর জন্য তার বাবার পাঞ্জাবী মধ্য রাতে নিয়ে বকুল গাছে গিয়ে আটকাতে পারে।আমার বাবার পাঞ্জাবীর দিকেই নজর গেলো উনার।মনে চাইছে মারাত্মক আকারের একটা প্রতিশোধ নিয়ে নেই কিন্তু কিভাবে নিবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১২

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১২

আকাশে শুভ্র মেঘের ছড়াছড়ি প্রকৃতির উত্তাল হাওয়া বইছে।ছাদে দাঁড়িয়ে আছি বিষন্ন মন নিয়ে।বিহান ভাই ঢাকা যাওয়ার আগে আমার রুমে এসছিলেন আর উনার হোয়াটস এপ এ একটা মেসেজ এসছিলো।মেসেজ টা সাটার টেনেই দেখছিলাম।প্রেয়সী নামে সেভ করা কারো নাম্বার।একটা লাল লাভ স্টিকার পাঠিয়েছিলো সে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৩

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৩

“প্রিয়,, কখনো ভাবিনি তোমার থেকে এমন চমৎকার গিফট পাবো।এই গিফট শুধু গিফট ই নয় আমার জীবনে তোমার আগমনের সূচনা। তোমাকে নিয়ে কত শত বার কবিতা লিখেছি কিন্তু তোমাকে বলতে পারি নি।তুমি আমার সেই অনুভূতি যার উপর রেগে গেলেও অন্য রকম অনূভুতি জাগ্রত হয়।যার রাগ আমার কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৪

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৪

আমার মতো আইলসার কাছে দিয়েছে কাপড় আয়রণ করতে।আমি এমনি তে ভাল একটা পারি না তার উপর কাপড় কিছু হলেই রক্ষে নেই।নিজে তাই ঘুচিমুচি কাপড় পরে ঘুরে বেড়ায়। আমার ড্রেস সব শুভ ভাইয়া আয়রন করে দেয়।কাপড় আয়রন এর ভয়ে ড্রেস ধুয়ে পানি চিপে না ফেলে পানি অবস্থায় নেড়ে দেই যাতে কাপর ঘুচিমুচি না

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৫

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৫

নড়াইল জেলার এক ঐতিহ্যবাহী মেলার নাম “সুলতান মেলা”চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান কে কেন্দ্র করেই এ মেলার আয়োজন করা হয়।এইদিনে সব কাজিনরা মিলে আমরা নৌকা ভাড়া করে নৌকা বাইচ দেখতে যায়।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৬

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৬

সারারাত না ঘুমিয়ে খুব ভোরে এসে টার্মিনাল দাঁড়িয়ে রইলাম কারণ বিহান ভাই এখান থেকেই বাসে উঠবেন।বিভোর ভাই এর কাছে খবর নিয়েছি কাল থেকে সে কিছুই খায় নি।মামা মামি সবাই চিন্তিত কি নিয়ে রাগ করেছে তাদের ছেলে।তার রাগের কারণ কারো জানা নেই।সে তার ব্যাক্তিগত কিছু কাউকেই বলে না।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৭

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৭

শ্যামাপাখি জানো, আমি দিন দিন কত দুষ্টু হয়ে যাচ্ছি।তোমার দেওয়া ছবি আমি কতশত বার জুম করে দেখেছি।তোমার ওই গাড়ো লিপিস্টিক এর দিকে তাকিয়ে নেশাক্ত হয়ে গেছিলাম। এই পিচ্চি শুনছো তোমাকে শাড়িতে নীল রঙে রাঙানো নীলাভ সৌন্দর্যের অধিকারী লাগছে।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৮

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৮

ওয়াল ঘেষে দাঁড়িয়ে আছি আমি আমার হাত শক্ত ভাবে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন বিহান। উনার মুখশ্রির অদলে বেশ পরিবর্তন সেই রাগি ভাবটা আর নেই।আমি উনার থেকে নিজেকে ছড়ানোর চেষ্টা করছি।নিঃসন্দেহে বিহান ভাই একজন শক্ত পক্ত শক্তিশালী মানুষ উনার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা যে বৃথা চেষ্টা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ১৯

বাসের মধ্য বিহান ভাই এর কাঁধে মাথা দিয়ে ঝিমিয়ে পড়েছি আমি।চোখ মেলে চাইতেই পারছি না।মাথা টা ঝিম ঝিম করছে আমার।বিহান ভাই মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।একটা গ্যাসের ট্যাবলেট আর সাথে একটা বমির ওষুধ খাইয়ে দিলেন।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২০

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ২০

পূবালি হাওয়াতে চুল গুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে, কখনো নিজের চোখে মুখে তো কখনো বিহান ভাই এর চোখে মুখে।মনের মাঝে ভীষণ ভালো এক অনুভুতি কাজ করছে। এই মুহুর্তে একটাই গান মনে পড়ছে এই পথ যদি না শেষ না তবে কেমন হতো তুমি বলোতো।কিন্তু উনাকে বলা যাবে না।উনার মনে এক মুখে আরেক।

Logo Light

হারিয়ে যান গল্পের দুনিয়ায়

2025 © Golpo Hub. All rights reserved.